একসময় ইকবাল মাহমুদের আভিজাত্যে মাটি পা পড়ত। দারিদ্রকে চরম ঘৃণা করত। তার মতে মানূষ স্বভাব দোষে নিঃস্ব হয়,রাস্তা ভিক্ষা করে সামন্য কয়টা টাকার জন্য। তাই কখনো ভাল করে ঘরে কাজের লোকগুলোর সাথেও ভাল করে কথা বল্লেনি। ওরাও সাহস পায়নি কখনো তার সামনে এসে কথা বলার। আজ সব হারিয়ে নিঃস্ব ইকবাল মাহমুদ ছেলে আর বউ নামের সব কিছু লিখে দিয়ে ভেবেছিলেন, জীবনের শেষ কয়টা দিন আরামে কাটাবেন। ব্যবসা-বাণিজ্য সব কিছু এখন তার ছেলের। ছেলের নামে চলছে সব কিছু। পকেট খরচ চালাতে হাত পাততে হচ্ছে ছেলে কাছে। দিনের একশত দিতে ছেলে নানা প্রশ্ন করে। বাবা তুমি প্রতিদিন একশত টাকা দিয়ে কি কর। ছেলে ইমরান বলে। চিংড়ী মাছের মতোন লজ্জায় গুটিয়ে যায় ইকবাল মাহমুদ। ছেলে বল কি! যৌবনে আমি দিনে পাঁচ হাজার রাতে পাঁচ টাকা খরচ করতাম। আজ একশত টাকার জন্য ছেলে আমাকে প্রশ্ন করে। নিঃশব্দের কেঁদে উঠে তার অন্তরাত্না। সংসার সংসার করে পুরা জীবনটা শেষ করে দিয়েছেন। এই তার প্রতিদান। জাহানারা ম্যানশানের সামনের দাঁড়িয়ে ভাবতে থাকে কত্ত বোকা তিনি বাড়ীটা করেছেন বৌ নামে। যে বউ তাকে এখন অকর্ম, অপদার্থ বলে খোটা দেয়। অফিসে কর্মচারীগুলো এখন তাকে দেখলেও দেখে না। পাশ কাটিয়ে চলে যায়। দিনের অধিকাংশ সময় তার দুচিন্তায় কেটে যায়। অভ্যাস না থাকায় নামাজে তার মন বসে। মসজিদে গেলে ছটফট করে। কখন মসজিদ থেকে বের হবে। অথচ মসজিদ থেকে বের হয়ে অলস সময় কাটায়। একাকি । সব কিছু আছে ,তবু যেন কিছু নেই তার।
তুহেল আহমেদ
রাত বাড়ে ।
ভোর হয় ।
কিন্তু ইকবাল মাহমুদের সময় কাটতে চায় না --
শেষের দিককার এই দুটি লাইনেই যেন ফুঁটে ওঠে সকল পৃথিবীর নির্মম নির্মমতা । ছোট্ট, সুন্দর একটি লিখা। লেখকের প্রতি শুভবাদ --
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।